দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুন , মৃত ৪ : মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে

13th September 2020 9:13 am বাঁকুড়া
দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুন , মৃত ৪ : মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ভয়ঙ্কর পথদুর্ঘটনায় দুই চালকসহ মৃত চার ঘটনা বিষ্ণুপুর থানার মরার গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নম্বর ক্যাম্প সংলগ্ন রাজ্য সড়কের ওপর I দুটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গেল দুটি লরি। ঘটনায় দুটি লরির চালক ও খালাসি মিলিয়ে মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার মড়ার এক নম্বর ক্যাম্পের কাছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মড়ার এক নম্বর ক্যাম্পের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পরস্পরের অভিমুখে যাওয়া দুটি লরি রাত একটা নাগাদ পরস্পরকে মুখোমুখি ধাক্কা মারে। লরিগুলির মধ্যে একটি রোড চন্দ্রকোনার দিক থেকে আজবেস্টাস বোঝাই করে বাঁকুড়ার দিকে যাচ্ছিল। অন্য লরিটি পাথর বোঝাই করে বাঁকুড়ার দিক থেকে রোড চন্দ্রকোনার দিকে যাচ্ছিল। লরি দুটির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে দুটি লরিতেই দাউদাউ করে আগুন জ্বলে যায়। খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ ও পরে দমকলের ২ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছে ঘণ্টা দুয়েক যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরে আগুন নেভায়। লরি দুটি থেকে মোট চারজনের অর্ধপোড়া অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। দুর্ঘটনার সময় ওই দুটি লরিতে আর কোনো ব্যাক্তি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান লরি দুটির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার সাথে সাথে দুজন লরি থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে মারা যান। অন্যদিকে দুটি লরির চালক ড্রাইভারস কেবিনের মধ্যে আটকে পড়ায় আগুনে পুড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বেশ কয়েক ঘন্টা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে । পরে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশি তৎপরতায় ওই সড়কে ফের যান চলাচল শুরু হয়।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।